সাধারণত মধুতে অনেকগুলো উপাদান থাকে। এরমধ্যে মধুর প্রধান উপকরণ হলো সুগার, যার ভেতরে লেভিউলোজ ৩৯ শতাংশ, ডেক্সট্রোজ ৩১ শতাংশ, ম্যালটোজ ৯ শতাংশ, গ্লুকোজ ১ শতাংশ এবং সামান্য পরিমাণে থাকে সুক্রোজ।
এছাড়াও মধুতে রেডিয়ামের মতো ধাতব উপাদানও থাকে যেমন- পোলেন, মোমের কণা যেগুলো উপকারি বটে। এগুলো মিশে মধুটা বেশ ঘোলাটে হয়। এই ঘোলাটে অবস্থাটা পাওয়া যায়, সেটা মধু যেভাবেই ভাঙা হোক না কেন।
এরপর মধুটা আপনি যখন প্রসেস করবেন কিংবা ময়েশ্চার কমিয়ে মোমবা পোলেন রিমুভ করবেন তখন কিছুটা সোনালি বর্ণ ধারণ করবে এবং এটা ঘটে যেকোন মধুর ক্ষেত্রে। কিন্ত পানির মত মধুতে এত সচ্ছতা আসে না।
ম্যাগ বাংলাদেশে মধু নিয়ে কাজ করছে সেই ১৯৭৮ সাল থেকে। আমরা আমাদের দীর্ঘ এই যাত্রাতে এত সচ্ছ মধু কখনও দেখি নি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় অনেকেই পানির মতো সচ্ছ মধু বিক্রি করছেন। যারা এটি বিক্রি করছেন অনেকেই বলে থাকেন, এই মধু ছোট মৌমাছি বা সেরেনা মৌমাছির।
এক্ষেত্রে একটি ব্যাপার ক্লিয়ার করি, মধু নির্ভর করে ফুলের উপর। কোন ফুলের নেকটার কেমন সেটার উপর। মধুর মূল স্বাদ এবং রং সাধারণত একই। মানে সরিষার বিশাল মাঠের পাশ থেকে যদি আপনি কোন গাছের ডাস মৌমাছির চাক ভাঙেন, আবার ওখানে কোন মেলিভেরা বা রেগুলার মৌমাছির বক্স রেখে মধু সংগ্রহ করেন অথবা ওখানের কোন গাছের ভিতরে চাক বাঁধা ছোট বা সেরেনা মৌমাছির চাক ভাঙেন সেক্ষেত্রে প্রতিটা মধুর স্বাদ কালার গুনাগুন একই থাকে।
খুব সামান্য কিছুটা চেঞ্জ আসতে পারে স্বাদে। এর বাইরে মূলত ভাঙার উপর অনেকটা নির্ভর করে। গাছের চাকগুলো কোন নির্দিষ্ট সিস্টেমে না ভেঙে হাত দিয়ে চিপরে মধু বের করার কারণে অনেক সময় পোলেন বেশি পরিমানে মধুর সাথে মিক্স হয় কোন সময় মৌমাছির অপ্রুষ্ট বাচ্চাও চিপরে ভাঙার কারণে মধুর সাথে মিশে যায়, সে ক্ষেত্রে স্বাদে বেশ পরিবর্তন আসতে পারে।
এক্ষেত্রে মধুটা আরও ঘোলাটে হবে। কিন্তু দিনশেষে অন্তত এই তিন ধরনের মৌমাছি থেকে এত স্বচ্ছ মধু আমরা আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কখনও দেখি নি।
আরেকটা সম্ভাবনা হচ্ছে সজনে বা খেসারী(একপ্রকার ডাল) ফুলের মধু। এই দুই মধু খুব বেশি সফট হয়। যদিও এই মধু বাণিজ্যিকভাবে খুব বেশি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না কিন্তু সম্ভাবনা আছে। এজন্যে উচিত হবে কারো থেকে মধু কিনলে কোন মৌমাছির সেটা জিজ্ঞেস করার পাশাপাশি কোন ফুলের বা কোন সময় সংগ্রহ করা হয়েছে অথবা আশাপাশে কোন ফুল বেশি ছিল সেটা জানতে চাওয়া। তাহলে কিছুটা অনুমান করা সম্ভব হবে।
পরিশেষে, মধুর ছবি দেখে আসলেই বলা সম্ভব নয় মধুটি কেমন! নতুন ধরনের কোন মধুর স্বাদ নিতে চাইলে নতুন কোন সেলার থেকে, আপনার উচিত হবে বিশ্বস্থ ও দীর্ঘদিন কাজ করছে এমন কারও কাছ থেকে নেয়া। এর বাইরে কোনো মধু কেনার পর যদি মধু সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে চান তাহলে স্যাম্পল পাঠাতে পারেন ম্যাগ মধুর কর্পোরেট অফিসের ঠিকানায়।