খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। মানুষসহ অন্যান্য যেকোন প্রাণীর খাদ্য গ্রহণ ছাড়া বাঁচা অসম্ভব। কিন্তু সেই খাদ্যে যখন থাকে ভেজাল তখন সেই বাঁচার উপায়ই জীবন নাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু অতি মুনাফালোভী ও অসাধু খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারীদের জন্যে প্রতিদিনই এই দুর্ভোগের শিকার হতে হয় মানুষের।
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়।
পরিবেশ বাঁচাও অন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু মাত্র ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে, ২ লাখ লোক কিডনি রোগে ও দেড় লাখ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া গর্ভবতী মা ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মদান করেন।
এই ভেজাল পণ্য বন্ধে সরকারের আইন ও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রমসহ নানা রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু এই অসাধু ব্যবসায়ীরা আইন ফাকফোকড় দিয়ে তাদের স্বার্থ ঠিকিই হাসিল করছেন।
প্রতক্ষ্যভাবে না হলেও পরোক্ষাভাবে মানুষ মারা ও লোক ঠকানোর মতো এমন গর্হিত অপরাধকে ইসলাম কিভাবে দেখে? চলুন জেনে নেওয়া যাক
ইসলামে এমন অমানবিক কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও চরমভাবে নিন্দিত। কারণ এতে প্রতারণা-ধোঁকাবাজি, অবৈধ পন্থায় অন্যের অর্থ উপার্জন, ভেজালমিশ্রিত খাদ্য বিক্রয়ের সময় মিথ্যা কথা ও মিথ্যা কসম করা, মানুষকে কষ্ট দেওয়া এবং শারিরীকভাবে অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করা ইত্যাদি জড়িত থাকে।
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, একবার রাসূল (সাঃ) বাজারে এক খাদ্যস্তুপের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি খাদ্যস্তুপের ভিতরে হাত প্রবেশ করে দেখলেন ভেতরের খাদ্যগুলো আর্দ্র-ভেজা।
তিনি খাদ্য বিক্রেতার নিকট জানতে চাইলেন, এটি কেমন কথা? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, বৃষ্টিতে ভিজে গেছে! রাসূল (সাঃ) তখন বললেন, তাহলে তুমি খাদ্যগুলো উপরে রাখোনি কেন? যাতে করে মানুষ দেখতে পায়। অতপর নবী (সাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করবে, সে আমার উম্মত নয়।’
[ মুসলিম ]
অন্য এক হাদিসে খাদ্যে ভেজালকারীর শাস্তি সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন ব্যবসায়ীদের মহাপাপীরূপে ওঠানো হবে, তবে যারা সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেছে তারা ছাড়া।’
[ তিরমিজি ]
খাদ্যে ভেজাল দিয়ে যে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করা হয়, তা অবৈধ পন্থায় অর্জিত। অবৈধ পন্থায় অন্যের সম্পদ ভোগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমাদের উচিত পরকালের শাস্তির কথা চিন্তা করে এই নগণ্য লোভকে বিসর্জন দেওয়া।
প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় হাজারো পণ্যের মাঝে মধু অন্যতম। যা আমাদের শরীরকে রোগ প্রতিরোধের জন্যে প্রস্তুত করে। একেই মধু সেনসেটিভ পণ্য এবং সেই সাথে যারা কিনা মধু সম্পর্কে কম জানেন তাদের পক্ষে মধুতে ভেজাল ধরতে পারাটা প্রায় অসম্ভব।
আমরা পাইকারী এবং সেই সাথে খুচরা কাস্টমারদেরও ম্যাগের মধুর খামার ভিজিট করারও সুযোগ দিয়ে থাকি। সুতরাং আপনি নির্দিধায় খামার ভিজিট করে নিশ্চিত হয়ে আপনার এই অতি প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারেন।
আমরা সততায় বিশ্বাস করি। অল্প লাভে আপনাদের দোয়া নিয়ে বাকী জীবন এভাবেই ম্যাগের মধুর ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাই।
Categories