Description
সরিষা ফুলের মধু কেন জমে ?
পদার্থ ৩ প্রকার। কঠিন, তরল, বায়বীয়। আপনার মনে হয়তোবা একটি প্রশ্ন ঘুরঘুর করছে, আসলাম মধুর জমে যাওয়া নিয়ে জানতে এখানে পদার্থ কোথা থেকে আসলো। পুরোটা পড়ুন। নাহলে বুঝবেন কি করে। আচ্ছা, পদার্থ যেহেতু ৩ প্রকার। তাহলে মধু কোন পদার্থ বলুন তো। আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন, এটা আবার কোনো প্রশ্ন হলো নাকি। অবশ্যই তরল পদার্থ। জি আপনার উত্তর সঠিক। কিন্তু অনেক সময়ে মধুকে তরল অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় না। আচ্ছা, একটু বুঝিয়ে বলি। মধু তো বায়বীয় অবস্থায় থাকতেই পারবে না। তাহলে বাকি আছে কঠিন অবস্থা। মধু কঠিন অবস্থায় না থাকতে পারলেও অনেক সময়ে অর্ধ- কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়৷ এই অবস্থাকে আমরা জেলীর সাথে তুলনা করতে পারি। জেলী যেমন কঠিন অবস্থায় থেকেও নরম ঠিক তেমন। একে স্কটিকায়ন বলে। কিন্তু মধু জমাট বাধে কেন? এই প্রশ্নই তো মাথায় ঘুরঘুর করছে তাই না? তাহলে চলুন জেনে নিই।
অনেকে মনে করে মধু জমে যাওয়া ভেজাল মধুর বৈশিষ্ট্য। ভাবার অবশ্য কারণও আছে। চিনি জমে গেলে যেমন সাদা রঙের দেখায়, মধু জমাট বাধার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমন দেখা যায়। এজন্যই অনেকে জমে যাওয়া মধুকে ভেজাল মনে করে। কিন্তু এটা একদমই ঠিক নয়। আসলে ওই সাদা অংশ হলো গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। মধু জমে যাওয়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘটনা। এতে মধুর গুণগতমান কোনো অংশেই কমে যায় না। যখন মৌচাক থেকে মধু আলাদা করা হয় তখন মধু যত দ্রুত জমে, চাকের ভেতর মোমের কোষ থাকলে তত দ্রুত জমেনা।
আবার অনেক সময়ে এমনও মনে হতে পারে যে, একসাথে দুটি মধু আনলে একটি জমে কিন্তু আরেকটি জমে না কেন? ওইযে বলেছিলাম না! গ্লুকোজ আর ফ্রুক্টোজের কথা। কোনো মধুতে ফ্রুক্টোজের তুলনায় গ্লুকোজ অধিক পরিমাণে থাকলে সেটি দ্রুত জমে যায়। মূলত আপনার অন্য মধুটিতে ফ্রুক্টোজের তুলনায় গ্লুকোজ কম পরিমাণে ছিলো বলে সেটি দ্রুত জমে যায় নি। তাই এখন থেকে জমে যাওয়া মধু আবার ভেজাল মনে করে বাজারে ফেরত দিয়ে আসবেন না।
Reviews
There are no reviews yet.